বিএনপি’র 10 ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে ঢাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই 10 ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে ঢাকার পরিস্থিতি এখন থমথমে গতকালের নয়াপল্টনে ঝামেলার জন্য এখন পুলিশ প্রশাসন অনেক সতর্ক পাহারায় রয়েছে। মূলত গত 2014 সালের 5 জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে বিএনপির আন্দোলনের মাঠে একবারের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে এরপর থেকে বিএনপির কোনো জোরালো আন্দোলন করতে পারেনি। অন্যদিকে এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি তাদের দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে চায় এবং আন্দোলনের মাঠে নিজেদেরকে জানান দিতে চায়। কর্মসূচি হিসেবে সারাদেশের এগারটি বিভাগীয় শহরে তারা সমাবেশ ঘোষণা করে ইতিমধ্যে তারা সারা বাংলাদেশের দশটি বিভাগীয় শহরে সফল সমাবেশ করেছে এখন এই ঢাকার সমাবেশটি তারা সফল করতে চাচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকার সমাবেশের জন্য বিএনপি দুটি স্থান চিহ্নিত করেছে একটি কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠ অন্যটি মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠ তবে কোথায় সমাবেশটি হবে এটি এখনো নিশ্চিত ভাবে জানানো হয়নি তবে 10 ডিসেম্বরের সমাবেশটি হবে এটি নিশ্চিত জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এই সমাবেশকে নিয়ে আতঙ্কিত কেননা এরকম একটি সমাবেশের মাধ্যমে 1996 সালে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে বাধ্য করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।আওয়ামী লীগ সরকার কোনভাবে চাচ্ছেনা বিএনপি একটি সফল সমাবেশ করুক। তাই ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ কঠোর পাহারা নিশ্চিত করেছে তারা যে কোনভাবে সম্ভব বিএনপির সমাবেশকে তারা বাধাগ্রস্ত করবে তবে হয়তো বা আওয়ামী লীগ এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিবে কেননা বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের সাথে এমন দমন-পীড়ন চালিয়ে বলেই দীর্ঘ সময় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে এত উত্তেজনার মধ্য থেকেই গতরাত্রে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসভবন থেকে সাদা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে সন্ধ্যার পর থেকেই তাদের বাসার সামনে সাদা পুলিশের অবস্থান বৃদ্ধি পায় । তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছুই জানানো হয়নি। বিএনপি’র এই দুই শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেল। এত উত্তেজনার মধ্য দিয়েও সারাদেশ থেকে ঢাকায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ ঘটাচ্ছে তারা একটি সফল সমাবেশ চায় অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চাচ্ছে কোনভাবে যেন এই সমাবেশটি না হয় এতে করে তাদের জন্য একটি আতঙ্কের কারণ হতে পারে কেননা ইতিপূর্বে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েই চরম মাশুল গুনতে হয়েছে। এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মির্জা আব্বাসের গ্রেফতারের বিষয়ে এখনও আওয়ামী লীগ বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি তাই এ সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
